বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ থেকে নিজাম উদ্দীন:
কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সদরে অবস্থিত আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে যা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক কোন আমলে নিচ্ছেন না৷জানা যায় প্রধান শিক্ষককের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পাঁচজন শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান যা আইনগত ভাবে বৈধ না ৷এই বিষয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ জেলা শিক্ষা অফিসে সকল বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়ে একটি আবেদন করেন যেখানে ২বছরের বকেয়া বেতন দেওয়া ও বিদ্যালয়ে পাঠদান অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷তারই পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ২৬-০৩-২০২৫ইং একটি আদেশ দেওয়া হয় যার স্মারক নং০৩২৫৪৮০০-৩১৩ যেখানে বলা হয়েছে বিধি মোতাবেক শিক্ষকদের বকেয়া বেতন ও বিদ্যালয়ের পাঠদানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷কিন্তু দুঃখের বিষর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে আসা সরকারী চিঠির কোন মূল্যায়ন করেননি প্রধান শিক্ষক৷জানা যায় বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক ৫ই আগষ্টের পর ছাত্র আন্দোলনে কারনে দুর্নীতির দায়ে বহিস্কার করা হয়েছিল৷জেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া চিঠি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে ভালো আচরণ করেননি ৷তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারব না৷এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন কি আর বলব জোর যার মুল্লুক তার ৷এখনও দেশে বৈষম্য আছে তা না হলে তা না হলে কিভাবে একজন প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসের আদেশকে অমান্য করে৷কিভাবে অহেতু কোন কারন ছাড়া প্রধান শিক্ষক ৫জন শিক্ষককে ২বছরের বকেয়া বেতন না দিয়ে বিধির বাহিরে পাঠদান থেকে বিরত রাখেন ৷প্রশ্ন থেকেই যায় আসলে দেশ মুক্ত কিন্তু বৈষম্য মুক্ত হয়নি এভাবেই নিজের আক্ষেপ তুলেন ধরেন ভোক্তভোগী শিক্ষকগণ৷তাদের সাথে কথা বলে আরও জানা যায় আরজত আতরজান স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পরই স্কুলের জেনারেল ফান্ডের টাকা কমতে থাকে ৷তিনি কমিটির অনুমোদন ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন যা সঠিক তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে৷প্রধান শিক্ষক স্কুলের দুটি বড় মেহগুনি গাছ কেটে পেলেন যা পরিবেশ অধিদপ্তরে কোন অনুমতি নেননি৷প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক কারও কথা শুনেন না তিনি আইনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে এমন অমানবিক কাজ করেছেন স্কুলের পাঁচজন শিক্ষককে অবৈধভাবে শিক্ষা দানের মত মহৎ কাজ থেকে বিরত রেখে ৷এই বিষয়ে এলাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান আরজত আতরজান স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক তার পূর্ববর্তী স্কুল বিন্নাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন৷তাই এলাকাবাসীর দাবি স্কুলের পরিবেশ সুন্দর ও পবিরেশ শীতিল রাখার জন্য যে ৫জন শিক্ষককে অহেতু বিধির বাহিরে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের পুর্নবহাল ও তাদের সস্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করে প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দাবি জানাচ্ছেন ৷